উত্তর কোরিয়া একটি ‘অনির্ধারিত ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের’ পরীক্ষা চালিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে ছিল তাদের সর্বশেষ পরীক্ষা। এদিকে সিউল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, কিম জং উন আরেকটি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর একেবারে কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া পূর্ব সাগর অভিমুখে অনির্ধারিত ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পরীক্ষা চালিয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেন এ সাগর জাপান সামগর নামেও পরিচিত।
এদিকে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার যে কোন পরমানু অস্ত্রের পরীক্ষার ‘দাঁতভাঙ্গা জবাব’ দেয়া হবে। দেশটির একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার পর তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলো।
টোকিওতে আলোচনার পর এ তিন দেশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, তারা এ অঞ্চলে তাদের প্রতিবন্ধকতা ব্যবস্থা জোরদার করবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার চো হিউন-দং বলেন, ‘আমরা সহযোগিতা আরো জোরদারের ব্যাপারে সম্মত যাতে উত্তর কোরিয়ার অবৈধ কর্মকা- দ্রুত বন্ধ করা এবং দেশটিকে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণ আলোচনায় ফিরিয়ে আনা যায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে অগ্রসর হলে এ তিন দেশ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সম্মত হয়।’
সিউল ও ওয়াশিংটন বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, পিয়ংইয়ং ২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো একটি পরমানু বোমার পরীক্ষা চালানোর কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী তাকিও মোরি বলেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একটি স্পষ্ট ও গুরুতর চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের ব্যাপারটি বিবেচনা করে আমাদের অঞ্চলে প্রতিবন্ধকতা ব্যবস্থা জোরদার করতে সম্মত হয়েছি।’
এ তিন মন্ত্রী বলেন, তারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করেন।
তবে মোরি ও চো বলেন, সেখানে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে এ আলোচনা আটকে রয়েছে।