আজ (২৯শে অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রোগ। এটি বয়স্কদের রোগ হলেও, বর্তমানে তরুণদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেড়েছে। বলা হয়, দেশে বর্তমানে প্রতি হাজারে স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন ১১ দশমিক ৩৯ জন মানুষ।
স্ট্রোক হওয়ার মূল কারণ হল মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়া। কোনো কারণে মস্তিস্কে রক্তনালি বন্ধ কিংবা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হলে স্ট্রোক সংঘটিত হয়।
সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ থেকেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু থেকে শুরু করে প্যারালাইসিসও হয় অনেকের।
বিশেষজ্ঞরা জানান, স্ট্রোক সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত রক্তনালি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত রক্তনালি ফেটে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে স্ট্রোক হয়। লক্ষণের মধ্যে রয়েছে, শরীরের ভারসাম্য রাখতে সমস্যা হওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, হঠাৎ করে চোখে কম দেখা, মাথা ঘোরানো, অচেতন হয়ে পড়া, শরীরের এক দিক অবশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিবছর বিশ্বে স্ট্রোকজনিত সমস্যায় ভোগে প্রায় দেড় কোটি মানুষ। এরমধ্যে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় স্ট্রোকে। বাকিদের বরণ করে নিতে হয় স্ট্রোক পরবর্তী পক্ষাঘাতজনিত সমস্যাকে। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকলেও শিশুদেরও স্ট্রোক হতে পাওে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এদিকে দেশে বেড়েই চলেছে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। যা এক বছরে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৫ হাজার ৫০২ জন মানুষ। যা বেড়ে ২০২০ সালে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৩৬০ জনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য সেবনের প্রবণতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সচেতনতার ঘাটতিসহ নানা কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।