শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ছয় বছরের জন্য নারী ফুটবল দলের স্পন্সর ‘ঢাকা ব্যাংক’ দেশের ফুটবল নিয়ে উঠছে ব্যর্থতার নানা প্রশ্ন চাহিদা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পিছিয়ে আমিরাতে শ্রমিক নিয়োগ ঈদের ছুটিতে পর্যটক বরণে প্রস্তুত কুয়াকাটা সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোববার ঈদ চীন সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ভোটাধিকার হরণের চেষ্টা করলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে: মির্জা ফখরুল সংস্কারের কথা বলে জনগণের সাথে লুকোচুরি খেলা হচ্ছে: রিজভী আগামীকাল ফ্রান্সে ঈদুল ফিতর ভারত-পাকিস্তান পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘোষণা করেছে সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হওয়া ৪১০টি মামলা প্রত্যাহার পরম শ্রদ্ধায় ড. ইউনূসকে বিদায় জানালো চীন ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে সংসদ নির্বাচনের সিল মারা ব্যালট উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার

অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থাকতে বললেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : মার্চ ২২, ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থাকতে বললেন মির্জা ফখরুল

কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মপরিকল্পনা না হয়— সতর্ক করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে।

আজ (শনিবার, ২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আগামীকাল (রোববার, ২৩ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাবপত্রের মতামত জমা দেবে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের স্প্রেডশিটের সুপারিশমালায় বোঝা যাচ্ছে— এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে, যা অনভিপ্রেত।’

অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সুপারিশমালায় কমিশনগুলোর প্রস্তাবে এটি প্রতীয়মান হয় যে, তারা আইন ও নির্বাহী বিভাগকে ক্ষমতাহীন করতে চায়। যার মাধ্যমে একটি অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং জবাবদিহিতা ও আইন শাসন নিশ্চিত করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করা। সংস্কার আগে নির্বাচন পরে, কিংবা নির্বাচন আগে সংস্কার পরে—এমন অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। কাজেই সংস্কার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি (সংস্কার সনদ) তৈরি হতেই পারে, নির্বাচিত সরকার পরবর্তী সময়ে যা বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে নানা প্রস্তাব আর মতামত উঠে এসেছে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। যার মূল ভিত্তিটা রচনা করেছে বিএনপির ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় কাঠামোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে, গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই আমাদের সংগ্রামের সময়ে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য এই দেশ ও দেশের মানুষের মূল চালিকাশক্তি।

এই ঐক্য ও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। এই ঐক্যকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না যাতে এই ঐক্য বিনষ্ট হয়। সুতারং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিনা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ