অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে কয়েক বছর ধরেই সরব যুক্তরাজ্য সরকার। তবে সম্প্রতি সরকারের বিতর্কিত আইন নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশটিতে। এর মধ্যে সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন যাওয়া অভিবাসীদের বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সমালোচনা।
প্রস্তাবিত নতুন বিলে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন যাওয়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তে বিরোধী দল ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তোপের মুখে পড়েছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিবাসী সংকটে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আইনের নামে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে তারা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, অবৈধ পথে নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন গেলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয়ের জন্য আবেদনের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। বরং তাদের আটক করার পর ফেরত পাঠানো হবে নিজ দেশে। আর যদি তাদের দেশ নিরাপদ না হয় তবে পাঠানো হবে রুয়ান্ডায়।
ব্রিটিশ সরকারের এমন অমানবিক আচরণের বিরোধিতা করছেন দেশটির সুশীল সমাজের একাংশ। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে পার্লামেন্টে নতুন আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।
পার্লামান্টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রপথে ব্রিটেনে আসতে গিয়ে অনেকে মারা যাচ্ছে, তারা আমাদের আইন ভঙ্গ করছে, তারা ব্রিটিশ জনগণের উদারতার অপব্যবহার করছে। এসব বন্ধ করতেই পদক্ষেপ নিয়েছি আমরা।
ব্রেভারম্যান আরও বলেন, মানব পাচারকারীদের চক্র ভাঙতে হবে। কেউ যদি যুক্তরাজ্যে আসতে চায়, অবশ্যই তাদের উচিত নিরাপদ ও আইনি পথে আসা।
তবে দেশটির প্রধান বিরোধীদলের দাবি, অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সরকারের এই বিল। যদিও, নতুন আইনের পক্ষে সাফাই গাইছেন প্রধানমন্ত্রী।
সুনাক বলেন, আমাদের নীতি খুবই স্পষ্ট। মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতে হবে, তারা অবৈধভাবে এই দেশে আসলে, তাদের আটক হতে হবে এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। একবার এমনটা শুরু হলে আশা করি, নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে তারা এদেশে আসা বন্ধ করবে।