অর্থনীতি পুনরুদ্ধার-বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ: অর্থ মন্ত্রণালয়

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার পর বুধবার অনলাইন মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, বিদেশ সফর আর নয়। যদি বিশেষ কারণে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে যেতে হয়, তাহলেই যাবেন, অন্যথায় নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর কমানো হচ্ছে। কমানো হবে।’

দামি গাড়ি ও নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার সময় এখন ৭৫ শতাংশ অর্থ অগ্রিম জমা দিতে হবে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য, খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি ও রপ্তানিমুখী শিল্প ছাড়া সব আমদানিতে ৫০ শতাংশ অর্থ আগে দিতে হবে। আগে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েই পণ্য আমদানি করা যেত।

বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সময় যখন কঠিন, তখন সিদ্ধান্তও নিতে হয় কঠিন। সারা বিশ্বের পরিস্থিতি এখন একরকম না। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যত দিন বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা চূড়ান্তভাবে সুরাহা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ এই নয় যে দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ঘাটতি আসবে—সে রকম কিছু নয়।’

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমরা বিলাসপণ্য দুই মাস পর কিনতে পারি। তিন–ছয় মাস পরও কিনতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিলাসী পণ্য কিছুদিনের জন্য নয়। নিত্যপণ্যে কোনো হাত দেব না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অর্থনীতি পুনরুদ্ধার-বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ: অর্থ মন্ত্রণালয়

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।

সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সভার পর বুধবার অনলাইন মাধ্যমে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, বিদেশ সফর আর নয়। যদি বিশেষ কারণে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরে যেতে হয়, তাহলেই যাবেন, অন্যথায় নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর কমানো হচ্ছে। কমানো হবে।’

দামি গাড়ি ও নিত্যব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার সময় এখন ৭৫ শতাংশ অর্থ অগ্রিম জমা দিতে হবে। এ ছাড়া শিশুখাদ্য, খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, ওষুধ, কৃষি ও রপ্তানিমুখী শিল্প ছাড়া সব আমদানিতে ৫০ শতাংশ অর্থ আগে দিতে হবে। আগে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দিয়েই পণ্য আমদানি করা যেত।

বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সময় যখন কঠিন, তখন সিদ্ধান্তও নিতে হয় কঠিন। সারা বিশ্বের পরিস্থিতি এখন একরকম না। আমাদের বিশ্বের সঙ্গে একীভূত হয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যত দিন বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা চূড়ান্তভাবে সুরাহা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অর্থ এই নয় যে দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ঘাটতি আসবে—সে রকম কিছু নয়।’

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমরা বিলাসপণ্য দুই মাস পর কিনতে পারি। তিন–ছয় মাস পরও কিনতে পারি। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বিলাসী পণ্য কিছুদিনের জন্য নয়। নিত্যপণ্যে কোনো হাত দেব না।’