বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শপথ গ্রহণের পরই ভারতসহ ১১ দেশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘হুমকি’ ‘২০০ সিট পেলেও এককভাবে ক্ষমতায় যাবে না বিএনপি’ সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ‘ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে বন্দিবিনিময় চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে’ বিপিএল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে তাসকিনের ভাবনা ব্যর্থতা নিয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জো বাইডেন জনগণ রায় দেবে আ. লীগের রাজনীতির অধিকার আছে কিনা: জামায়াতের আমির ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব গায়েবি মামলা প্রত্যাহার: আইন উপদেষ্টা তথ্য কমিশনার পদ থেকে মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ সিনিয়র ৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প, হাজারো কর্মকর্তাকে হুমকি ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর আমরা ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই : ফখরুল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও জোরদার বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম বন্ধ করল সরকার নির্বাচনী অঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই সংস্কারের প্রস্তাব: বদিউল আলম

অর্থপাচার মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২২
অর্থপাচার মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু

মানি লন্ডারিং (অর্থপাচার) আইনে করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রোববার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ ৮ নম্বর আদালতের বিচারক বদরুল আলম ভুইয়া তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

বিচার শুরু হওয়া অন্য চার আসামি হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলম।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেকবই, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।

চার্জশিটে বলা হয়, অবৈধভাবে পাঁচ কোটি টাকার মালিক হন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর। এই টাকার কথা কেউ যাতে জানতে না পারে, সেজন্য তা ব্যাংকে না রেখে বাসার খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। বাসায় এত টাকা রাখার তথ্য স্ত্রী পাপিয়াকেও জানাননি তিনি। তবে মফিজুর যখন ভারতে অবস্থান করেন, তখন পাপিয়া বাসার খাটের নিচে টাকা থাকার তথ্য জেনে যান এবং এই অবৈধ টাকা পরে খরচ করেন। এর মধ্যে হোটেল ভাড়া দেন তিন কোটি টাকার বেশি।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। বর্তমানে তারা কারাগারে আটক আছেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ