দ্বিতীয় টি-২০ তে ডেভিড মালান ও মঈন আলী ঝড়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে আছে ইংলিশরা।
বুধবার (১২ই অক্টোবর) ওভালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭০ রান তুলতে সমর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ২১ রানের মাথায় বিদায় নেন অধিনায়ক জশ বাটলার। প্যাট কামিন্সের শিকার হওয়ার আগে ১১ বলে করেন ১৭ রান। দলের খাতায় ১০ রান যোগ হতেই ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।
এরপর অষ্টম ও নবম ওভাওে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ইংলিশদেও টেনে তোলেন ডেভিড মালান ও মঈন আলী। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন ৫২ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন।
এই জুটিতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলে স্টয়নিসের শিকার হন মালান। ৪৯ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ টপ অর্ডার ব্যাটার। মঈনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ২৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। স্টয়নিস ও মিচেল স্টার্ক নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাই ভালো করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২২ রানেই দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারায় দলটি। এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৯ রান যোগ করেন মিচেল মার্শ। ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে স্যাম কারান এ জুটি ভাঙলে ফের চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
শেষদিকে ম্যাথিউ ওয়েডের সঙ্গে ডেভিডের ৩১ রানের আরও একটি জুটি। তাতে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল দলটি। কিন্তু কারানের তৃতীয় শিকার হয়ে ডেভিড ফিরলে আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেননি অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিকে প্যাট কামিন্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও হারতে হয় ৮ রানে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন মার্শ। ২৯ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রান করেন ডেভিড।
গ্যাম কারান ৪ ওভাওে ২৫ রান খরচায় নিয়েছেন তিনটি উইকেট।