ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নাসিম শাহর প্রথম ডেলিভারিটি ছিল অফ স্ট্যাম্পের বাইরে। হাফভলি পেয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শেষ ব্যাটসম্যান অ্যাডাম জাম্পা। ব্যাটের কোণায় লেগে বল উপরে ওঠে যায়। ক্যাচের সহজ সুযোগ পায় পাকিস্তান। কিছুটা দৌড়ে গিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাতে একটা বিশ্ব রেকর্ডও হাত ফস্কে বেরিয়ে গেল পাকিস্তান উইকেট কিপারের হাত থেকে!
ওয়ানডে ইতিহাসে উইকেট কিপার হিসেবে এক ইনিংসে এককভাবে সর্বোচ্চ ৭টি ক্যাচ হয়ে যেত রিজওয়ানের। সেটা না হলেও ৬টি ক্যাচ নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রেকর্ডের তালিকায় নাম উঠেছে পাকিস্তানি উইকেট কিপারের। এ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, অ্যাডিলেডে গতি আর সুইংয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন পাকিস্তানি পেসাররা।
ম্যাচে হয়েছেও সেটাই। হারিস রউফ-শাহিন শাহ আফ্রিদিদের গতিরে তোপে বিধ্বস্ত হয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ১৬৩ রানে। এশিয়ার দেশটির বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
এর আগে ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিডনিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৬৫ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর গুটিয়ে যাওয়ার হিসেব বিবেচনায় নিলে, ২০০২ সালে মেলবোর্নে ১৬৭ রানে অলআউট হয়েছিল রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া।
আজ সর্বনিম্ন রানের লজ্জা দিতে অস্ট্রেলিয়ার ১০টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসাররা। এর মধ্যে ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে ৩টি এবং মোহাম্মদ হাসনাইন ও নাসিম শাহ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। নাসিমের উইকেট সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। কিন্তু ২১ বছর বয়সী ডান হাতি পেসারের ওভারে ৩টি ক্যাচ মিস করেছেন পাকিস্তান। এছাড়া হারিস রউফের ওভারে ক্যাচ মিস হয়েছে আরও একটি।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আজ সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন স্টিভেন স্মিথ। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান ২০ রানের কোটা ছুঁতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করেছেন ম্যাথিউ শর্ট।