নিত্যপণ্যের চড়া দামে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা

- আপডেট সময় : ০৩:৫০:৪২ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২ ১ বার পড়া হয়েছে
বাজারে চিনির সংকট দূর হচ্ছে না। রাজধানীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেলো, অনেক জায়গাতেই চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। সংকট রয়েছে সয়াবিন তেলেরও। মজুদ কম হওয়ায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত ও খোলা আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা পর্যন্ত।মানভেদে চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নিত্যপণ্যের দামে এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নাজেহাল নিন্ম ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা।
অস্থির চালের বাজার। কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবধরনের চালের দাম। নতুন চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত কোন সুখবর নেই বিক্রেতাদের কাছে। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি আর ডিমের দাম। শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করায় শাক-সবজির দামও কিছুটা কমতির দিকে।
দুই মাস ধরেই নানা অজুহাতে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম। কখনো ধানের দাম বেশি, কখনো সরবরাহ কমের অজুহাত ব্যবসায়ীদের। এরই মাঝে আরেক দফা বাড়ালো। বস্তা প্রতি ১০০ থেকে দেড়শো টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের চাল। নতুন চাল বাজারে এলে দাম কমতে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
সরবরাহ কমার অজুহাতে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে চিনি আর ভোজ্যতেলের। ডিলাররা পণ্য দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। বাড়তি দামে পণ্য কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস অবস্থা।
বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য মাছের। ইলিশ কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত। দেশি মাছের দাম বেশি হলেও, চাষের মাছের দাম তুলনামূলক কম।
শীতকালীন সবজি শিম, মূলা, বেগুন, ফুলকপি বাজারে আসায় আগের চেয়ে দাম কমেছে। গত সপ্তাহ থেকে বেশিরভাগ সবজিই কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। তবে বিক্রেতাদের এমন যুক্তি মানতে নারাজ ক্রেতারা।
কিছুটা দাম কমে ব্রয়লার কেজিতে ১৬৫ ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা ডজনে।
ছয় সদস্যেরপরিবারের জন্য সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন চিকিৎসক তাহসিন রায়হান। ঘুরে ঘুরে অনেক দরদাম শেষে সদাই করছেন তিনি। জানালেন, নিত্যদিন প্রয়োজন এমন বেশিরভাগপণ্যেরই দাম বেশি। ফলে,একজনের রোজগারে সংসার চালাতে অনেক হিসেব করে চলতে হয়।