জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। আজ শুক্রবার (০৮ই জুলাই) টুইট বার্তায় তারা শোক ও নিন্দা জানান। প্রয়াত এই নেতার পরিবার ও জাপানের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও অন্যান্য দেশের সরকারপ্রধান।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ টুইটে লিখেছেন, জাপান থেকে হতাশাজনক খবর- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’কে গুলি করা হয়েছে। এ সময়ে তার পরিবার ও জাপানের জনগণের জন্য আমাদের প্রার্থনা। ‘প্রিয় বন্ধু’ শিনজো আবেকে হারিয়ে ‘শোকার্ত’ বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে ভারতে শনিবার এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন তিনি। শিনজোর মৃত্যুর পর টুইটারে এ কথা ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েল বলেন, শিনজো আবে জাপানের একজন অসাধারণ নেতা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অটল একজন মিত্র ছিলেন। তার পরিবার ও জাপানের জনগণের মঙ্গল কামনা করছে মার্কিন জনগণ।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেছেন, জি২০ ভুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের তরফে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহানুভূতি জানানো হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেন, আমার মনে হয় এ খবরে আমার মতো সবাই বিস্মিত ও বেদনাহত হয়েছেন। তাইওয়ান ও জাপান উভয়েই আইনের শাসন দিয়ে পরিচালিত দুটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমার সরকারের পক্ষে ভয়াবহ সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ই জুলাই) এক নির্বাচনী প্রচারণায় তাকে টার্গেট করে গুলি চালায় দেশটির সাবেক এক নৌসেনা। সেই গুলি লাগে ৬৭ বছর বয়স্ক আবের গলায় ও বুকে। আহত আবেকে বাঁচাতে দীর্ঘ চেষ্টা ও অস্ত্রোপচার চলে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় সরকারের তরফ থেকে।
বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, জাপানের নারা শহরে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলেন আবে। তিনি যখন বক্তৃতা দিতে উঠেন তখন পেছন থেকে তাকে গুলি করা হয়। তিনি বক্তৃতার মাঝখানেই লুটিয়ে পড়েন। ৪১ বছর বয়সী হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ। শিনজো আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত।