শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের দুঃসংবাদ এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, অংশ নিচ্ছে সাড়ে ১২ লাখ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, গুলশানের বাড়ি প্রস্তুত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তান ডি মারিয়ার জোড়া গোলে বড় জয় বেনফিকার চেলসিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী নেতাকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে: গ্রিসের জাহাজমন্ত্রী ইরানে মোসাদ সংশ্লিষ্ট ৫৪ গুপ্তচর গ্রেফতার ইরানের উত্তরাঞ্চলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ইরানের আঘাতে ইসরাইলের ক্ষতির পরিমাণ শত শত কোটি ডলার ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় নিহত ৬, বাসে আগুন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটারের সাক্ষাৎ

আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শক্ত হাতে মোকাবিলা হবে: ডিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২৪
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শক্ত হাতে মোকাবিলা হবে: ডিএমপি

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গ করা হলে তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর লালবাগে হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় পবিত্র আশুরা উদযাপন ও তাজিয়া মিছিল উপলক্ষ্যে ডিএমপির নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, চলমান কোটা আন্দোলনের বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আদালত যে আদেশ দেবেন তার প্রতি শ্রদ্ধা থাকা এবং তা মেনে নেওয়া প্রতিটি নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। আদালতের নিয়ম মানতে আমরা বাধ্য। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে তৎপরতা কেউ চালালে সেটি যেই হোক সেটি শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে বিসিএসসহ সব ধরনের সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটার প্রচলন ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৫৬ জন নিয়োগ দেওয়া হতো কোটাধারী চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে। এটাকে ‘বৈষম্য’ ধরে নিয়ে এর নিরসনে বিভিন্ন সময় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিন সংসদে ঘোষণা করেন, যেহেতু কেউ কোটা চায় না সুতরাং এখন থেকে আর কোনো কোটা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিসিএসসহ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ছাড়াই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে আসছে। তবে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতোই কোটা পদ্ধতি চালু আছে।

সম্প্রতি, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করে প্রথম ও ২য় শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার আবারও প্রচলন চান। হাইকোর্ট ওই রিট ‘অ্যাবসলুট’ ঘোষণা করেন এবং ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে জারি করা সরকারি পরিপত্রটি অবৈধ ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে গেছে এবং আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর ৪ সপ্তাহের জন্য ‘স্ট্যাটাস কো’ বা স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ