বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্যে মামলা স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে জার্মানি’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের কোড নাম কী ছিল পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রইলো বাংলাদেশ লিসবনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বার্সেলোনার জয় ‘ওষু‌ধের বাই‌রে খা‌লেদা জিয়ার চিকিৎসা নি‌য়ে পর্যা‌লোচনা চলছে’ দেড় দশকে গুম হয়েছেন মা-শিশুসহ অন্তঃসত্ত্বা নারীরাও বিমানের রোম ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, শাহজালালে সতর্কতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহযোগিতার আশ্বাস ইউএনএইচসিআরের

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় সারাদেশে ৭৭৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। লাইসেন্স বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় অস্ত্রগুলো এখন অবৈধ। এসব অস্ত্র উদ্ধারে সব জেলা পুলিশ সুপারকে (এসপি) চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও পাবনা জেলার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, যে ৭৭৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশের মালিক আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে যাওয়ার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ বিদেশে পালিয়েছেন, কেউ কেউ দেশেই আত্মগোপনে আছেন। তাদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলা হয়েছে। এ জন্য অনেকে অস্ত্র জমা দেননি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। এছাড়া পাবনায় ১৪১, চট্টগ্রামে ৭৩, যশোরে ৬৬, সিলেটে ৬৩ ও কক্সবাজারে ৩৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৭৭৮টি অবৈধ অস্ত্র কোথায় আছে, এর মালিকেরা কোথায় আছেন, সেসব তথ্য নেই। অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য এখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েনি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মামলার বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গাফিলতি থাকতে পারে। যদিও ৫ আগস্টের পর পুলিশ বিভাগ এখনো পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় অনেক কাজ স্থবির হয়ে আছে বলে জানান এই কর্মকর্তারা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে বিভিন্ন সময় বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। কখনো অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে পরে সেটিকে বৈধ অস্ত্র বলে দাবি করার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশির ভাগ সময় নিশ্চুপ ছিল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০১৬’ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নিজের লাইসেন্সের বিপরীতে নেওয়া অস্ত্র শুধু আত্মরক্ষার জন্য বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যের মধ্যে ভীতি বা বিরক্তি তৈরি হতে পারে, এমন ক্ষেত্রে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না। এটি করলে তার অস্ত্রের লাইসেন্স তাৎক্ষণিকভাবে বাতিলযোগ্য হবে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ