সব ঠিক থাকলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত একশ’ আসনে ইভিএমে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ইভিএম সরবরাহ করতে পারলে তিন’শ আসনেই ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে ইলৈকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম এর সঙ্গে পরিচয় হয় এক যুগ আগে। ২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত এর ব্যবহার ছিল কম এবং পরীক্ষামূলক। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমএর মাধ্যমে মাত্র ৬টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়।
পরবর্তীসময়ে বেশ কিছু সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে ইভিএম নিয়ে সবার মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে চায় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ আস্থা আছে মানুষের, আবার অবিশ্বাষের বিষয়ও আছে। আমরা সেগুলো যেনো না থাকে সেদিকে উদ্যোগ নিচ্ছি। ভারতীয় ইভিএম আমাদের থেকে কারিগরে অনুন্নত হওয়া সত্যেও, যদি আস্থার মধ্যে থাকতে পারে, তাহলে আমাদের ইভিএম ইন্নত হয়ে কেন থাকবে না।’
নির্বাচন কমিশন প্রথমে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দিয়ে যাচাই বাছাই করবে। পরে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। নেয়া হবে সবার মতামত।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর আরও বলেন, ‘সম্মানীত রাজনৈতিকবিদ যারা আছেন তাদের কাছেও আমরা আহ্বান জানাব যে, আপনারা আপনাদের বিশেষজ্ঞদের প্রেরণ করেন। প্রয়োজনে আপনাদের কোনো প্রতিনিধি থাকতে চান তাও থাকতে পারবেন।’
প্রয়োজনে ইভিএম এর প্রযুক্তিতেও আসতে পারে পরিবর্তন। আস্থা অর্জন করতে পারলে সব আসনেই ভোট হবে ইভিএমএ।