শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নামল ১৯ বিলিয়ন ডলারে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২,৫০০ টাকা নির্ধারণ জাতীয় সংসদকে হাইকোর্টের ১৬ পরামর্শ পাকিস্তান নারী দলকে হারিয়ে দিলো বাংলাদেশ কাপুরুষের কাছে রাজনীতি শোভা পায় না: কাদের সিইসির সঙ্গে তিন গোয়েন্দা প্রধানের সাক্ষাৎ ‌‌বিএনপি দেশকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে- তথ্যমন্ত্রী ক্ষমতাসীনরা নাশকতা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে : রিজভী ইসরায়েলবকে হিজবুল্লাহর হুঁশিয়ারি ইসরায়েল থেকে আরও ২ দেশের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত পেনশন স্কীমে ব্যাপক সাড়া, ৩দিনে ৪০ হাজার আবেদন, ২ কোটি টাকা জমা ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে ৫২ আবেদন, উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন প্রধান তিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, চীনের খপ্পড়ে বাংলাদেশ পড়েছে কি না প্রশ্ন দুই কংগ্রেস সদস্যের বাড়তি দর নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের পর এবার ডিম আমদানির পরিকল্পনা

আগামী নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকার ও কমিশনের অধীনে হতে হবে: মির্জা ফখরুল

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ফখরুল বলেন, সবার আগে গণতন্ত্রের আপসহীন নেতা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের মুক্ত করতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা আছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এর আগে এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

রাজনৈতিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেই রাজনৈতিক মুক্তি তো আমরা পাইনি। আমরা পুরোপুরি বন্দী হয়ে আছি। আমরা কথা বলতে পারছি না, লিখতে পারছি না। সাংবাদিকেরা বিনা ভয়ে কিছু লিখতে পারেন না। তাঁদের ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ফেলা হয় অথবা বিভিন্ন আইনে মামলা দিয়ে তাঁদের হয়রানি করা হয়।’

ক্ষমতায় আসার পর কিছুদিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘তারা চিন্তা করে দেখেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কোনো দিন ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই সেই বিধান বাতিল করা হয়েছে। খালেদা জিয়া ওই দিনই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এই বিধান বাদ দেওয়ার ফলে বাংলাদেশকে চিরস্থায়ীভাবে একটা অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। তা–ই হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারছি না।’

এ সময় সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব রাষ্ট্রযন্ত্র দলীয়করণ করেছেন। বিচারবিভাগ দলীয়করণ হয়ে গেছে। প্রশাসন দলীয়করণ হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করেছেন। এমনকি সেনাবাহিনীকেও দলীয়করণ করার চেষ্টা করছেন।’ এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতার ভাষ্য, এইভাবে একতরফা, একদলীয় শাসনব্যবস্থা, কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করা, ফ্যাসিবাদী সরকার চিরস্থায়ী করা—এটা কোনো দিনই এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথা বলেছেন গতকাল। তার দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের মধ্যে সবাইকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এটা কোন নির্বাচন? যে নির্বাচন শুধু আপনাকে নির্বাচিত করবে, সেই নির্বাচন। যে নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে যেতে পারবেন না, তাঁদের বাড়িঘরে আক্রমণ করা হবে, ভোটকেন্দ্রে গেলে তাঁদের নির্যাতন করা হবে, সেই নির্বাচন। যে নির্বাচন আগের রাতেই দখল করে নিয়ে চলে যাবেন, সেই নির্বাচন। যে নির্বাচন আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আরেকটা পথ সুগম করবে, সেই নির্বাচন। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সেই ধরনের নির্বাচন হবে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ