২০২৩ সালের স্কুল পর্যায়ের সব শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেয়ার পাঠ্যবই ছাপা নিয়ে শুরুতেই তৈরি হয়েছে সংকট। একদিকে দরপত্র প্রকাশে দেরি করা, অন্যদিকে, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রকাশকরা কম দর দাখিল করেছেন। এতে মানসম্মত কাগজ ও ছাপা এবং বছরর প্রথম দিন সব শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক পাবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয় সরকার, এ বছর এখনও বই ছাপার চূড়ান্ত কার্যাদেশ দেয়নি পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
২০২২ সালে ৩৬ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপা হলেও ২০২৩ সালের জন্য ছাপা হবে ৩৪ কোটি বই। ২০২৩ সালের নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী কমেছে ২ কোটি বই। বৈশ্বিক বিরূপ আর্থিক পরিস্থিতিতে কাগজ, কালিসহ মুদ্রণ উপকরণের উচ্চমূল্যের কারণে এবার পাঠ্যপুস্তক তৈরির খরচও বাড়বে। তাই পাঠ্যপুস্তকের ২৮০ লটের জন্য এনসিটিবি ৫শ’ ৭০ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৬ টাকার দর বেঁেধ দেয়। আর প্রকাশকরা এর চেয়েও কম দর দাখিল করেছে।
আরো বই ১৮২ লটের জন্য এনসিটিবি ৬শ’ ৬৯কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার ৬শ৬৮ টাকা দর চাইলেও প্রকাশকরা মাত্র ৪শ’ ৮৯ কোটি ২৫ লাখ ২৮ হাজার ৯শ’ ২৬ টাকায় ছাপাতে চান।
কাজ পাওয়ার জন্য কম দর দাখিল করায় কাগজ ও ছাপার মান খারাপ হতে পারে বলে মুদ্রণ শিল্প সমিতির। শুল্কমুক্তভাবে ছাপার কাগজ আমদানীর সুযোগ চান বলে জানালেন, মুদ্রণ শিল্প সমিতির উপদেষ্টা তোফায়েল খান।
পাঠ্যপুস্তক ছাপার খরচ আগের চেয়ে বাড়লেও দরপত্রের চেয়ে প্রকাশকরা কম দর দাখিল করায় বিস্মিত এনসিটিবির চেয়ারম্যান ফরহাদুল ইসলাম।
জানুয়ারির প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছানো হবে বলেও আশাবাদী তিনি।