বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
আজ পবিত্র শবে মেরাজ

পবিত্র শবে মেরাজ আজ। রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ফারসিতে শব শব্দের অর্থ রাত এবং আরবিতে মেরাজের অর্থ ঊর্ধ্বগমন। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতো বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদত করে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এই রাতে তারা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ও ইবাদত-বন্দেগি পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অলৌকিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক দিবস হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পবিত্র শবেমেরাজ পালিত হয়। এ রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে ফেরেন।

নবুয়ত লাভের ১১তম বছর (৬২১ খ্রিষ্টব্দ) হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য দুঃখ ও শোকের বছর ছিল। এ সময় তিনি তার কঠিন সময়ের দুইজন প্রিয় ব্যক্তি স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও চাচা আবু তালেবকে হারিয়েছেন। এছাড়া, ইসলামের দাওয়াত নিয়ে তায়েফ গেলে সেখান থেকেও আশাহত হয়ে ফেরেন।

এরপর মহান আল্লাহ ইসরা ও মেরাজের মাধ্যমে প্রিয় রাসুলকে বিশেষভাবে সম্মানিত করেন।

সেদিন রাতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে বোরাক নামের বিশেষ বাহনে করে বাইতুল মুকাদ্দাসে যান মহানবী (সা.)। সেখানে নবী-রাসুলদের সঙ্গে দুই রাকাত নামাজ পড়ে তিনি সাত আসমান অতিক্রম করেন। সেখানে তার সঙ্গে বিভিন্ন নবীর দেখা হয়। সিদরাতুল মুনতাহার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন জিবরাইল (আ.)। এরপর মহানবী (সা.) জান্নাত, জাহান্নাম ও আরশসহ সৃষ্টির বিভিন্ন রহস্য প্রত্যক্ষ করেন।

ফেরার সময় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি নিজ উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ এসেছে।

ইরশাদ হয়েছে, পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা ভ্রমণ করিয়েছেন, যার আশপাশ আমি বরকতময় করেছি, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা।’ (সুরা : বনি ইসরাইল, আয়াত : ১)


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ