জাতীয় ভোটার দিবস আজ (২ মার্চ)। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ভোটার হব নিয়ম মেনে, ভোট দিব যোগ্যজনে’। দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশ করা হবে হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
দিনটিকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৮টায় নির্বাচন ভবনের সামনের চত্বর হতে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে কমিশন ভোটার দিবস উদযাপন কার্যক্রমের সূচনা করবেন। বিকাল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে ভোটার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।ভোটার দিবসে দক্ষতা ও কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ৩ জন চৌকস কর্মকর্তাকে জাতীয় নির্বাচনি পদক প্রদান করা হবে।
কেন্দ্রীয়ভাবে এসব কর্মসূচি ছাড়াও সারাদেশে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা ও থানা পর্যায়ে শোভাযাত্রা ও আলোচনা অনুষ্ঠান হবে।
২০১৩ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলোর নির্বাচন বিষয়ক সংগঠন ফেমবোসার চতুর্থ সভায় সদস্য দেশগুলোতে জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস পালনের তাগাদা আসে। এরপরই মূলত জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ১ জানুয়ারি বা ৭ জুলাই জাতীয়ভাবে ভোটার দিবস উদযাপনে একটি প্রস্তাব কমিশন সভায় উপস্থাপন করে। পরে কমিশন ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত ২০১৮ সালে সরকারের সায় পেয়েছিল। তবে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষিত হওয়ায় ২০২০ সাল থেকে ২ মার্চকে ভোটার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত আসে।
২০২১ সালে হালনাগাদের পর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন। সে সময় হালনাগাদে মৃত্যুজনিত কারণে কর্তন করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৯৯ জনের নাম। আর নতুন ভোটার হয়েছেন ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫৬ জন।