মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই ঘোষণাপত্র- বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক আরেক মামলায় খালাস, কারামুক্তিতে আর বাধা নেই বাবরের জকোভিচের দারুণ জয়, আলকারাজও দ্বিতীয় রাউন্ডে মডেল তিন্নি হত্যা: খালাস পেলেন সাবেক এমপি অভি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে নয়, জামায়াতের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই: মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে: রিজভী ৩১ জানুয়ারির পর অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিউলিপকে পদত্যাগ করার আহ্বান ইউকে অ্যান্টি-করাপশনের মোদির ডিগ্রি প্রশ্নে তথ্য দিতে নারাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৭ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪৬ জন শিশু ও নারী শহীদ: উপদেষ্টা শারমীন গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির পৃথক মামলা চীনজুড়ে চলছে শীতকালীন বরফ উৎসব

আজ শুভ বড়দিন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
Christmas Day being celebrated

আজ ’শুভ বড়দিন’, খ্রিষ্টানধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। আজকের এই দিনে বেথেলহামে জন্মগ্রহণ করেন যীশু খ্রিস্ট। বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই ব্যাপক সমারোহের সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করছে।

এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এছাড়াও শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। বড়দিনে উপহার আদান প্রদান করা হয়। সান্তাক্লজ এই উপহারগুলো নিয়ে আসেন বাচ্চাদের দেওয়ার জন্য। তবে এর মূল উদ্দেশ্য হল পারিবারিক সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে তোলা।

বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন, বেসরকারি টিভি ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সম্প্রদায় পৃথক বাণীতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস-ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি—মুসলমানদের কাছে যিনি পরিচিত হজরত মরিয়ম (আ.) হিসেবে। মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, যা বাংলায় ‘যিশু’। আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ২১ বছর আগে জেরুজালেমের বেথলেহেম শহরের এক গোশালায় জন্ম হয়েছিল যিশুর। শিশুটি কিন্তু মোটেও সাধারণ শিশু ছিল না। ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে।

তিনি বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’ যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরাল। রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলেন না। যিশুখ্রিষ্টকে তারা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করলেন। তারা যিশুকে বন্দি করে ক্রুশে বিদ্ধ করে হত্যা করলেন। যিশুর জন্মের অনেক বছর পর থেকে খ্রিষ্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ