এ যেন পুকুরচুরি। বাস্তবে আদালতের ভুয়া রায় বানিয়ে জমি নিজের নামে বেহাত করে নিয়েছিলেন মনসুর আলম। সরকারি চাকরিতে কর্মরত মনসুর আলমের জালিয়াতি ধরা পড়ায় নিজেকে নির্দোষ জাহির করছেন। আর দিচ্ছেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের দোহাই।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মনসুর আলম। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক। আদালতের ভুয়া রায় তৈরি করে বহাল তবিয়তে আছেন সরকারি চাকরিতে।
ঘটনার সূত্রপাত, ২০০৫ সালে। মনসুর আলমের বাবা পাবনার গোপালপুর গ্রামের সাড়ে ১৮ বিঘা জমি নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। আট বছর পর সেই মামলা আদালত খারিজ করে দেন। গেল বছর মনসুর আলম আদালতের ভুয়া রায় তৈরি করেন। শুধু তাই নয়, নিজের পক্ষে ডিক্রি দিয়েছে উল্লেখ করে ভূমি অফিসে রায় দাখিল করে জমি লিখে নেন।
এরপর বের হতে থাকে পুরো ঘটনাই ভুয়া। জালিয়াতির ঘটনা জানতে পেরে, চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি সরকারি কৌসুলির কাছে রায়ের বিষয়ে মতামত চেয়ে চিঠি দেন ভূমি কর্মকর্তা। এরপর ধরা পড়ে মনসুরের জালিয়াতি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মনসুর আলমের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রেরে শিকার।
জালিয়াতির ঘটনায় মনসুর আলম ও তার ভাই মাহমুদ এ হাসানের বিরুদ্ধে পাবনার আদালতে মামলা হয়েছে।