আফগানিস্তানে শিশু হত্যার দায় স্বীকার যুক্তরাজ্যের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২ ০ বার পড়া হয়েছে
বৃত্তান্ত২৪ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আফগানিস্তনে ৬৪ শিশুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি তার জন্য বাহিনীটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে বলে জানানো হয়। আফগানিস্তানে হত্যার শিকার প্রত্যেক শিশুর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক হাজার ৬৫৬ পাউন্ড দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চালানো ব্রিটিশ অভিযানে ৬৪ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্যই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো। তবে এই সংখ্যা প্রকৃত পক্ষে আরও বেশি। যে সব শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের গড় বয়স ছয় বছর। অধিকাংশ শিশুই বিমান হামলায় নিহত হয়।

এদিকে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে এখন আর যুদ্ধের তর্জন-গর্জন শোনা যায় না। পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে সহিংসতা কমেছে ব্যাপকভাবে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য আরও বেড়েছে। সবচেয়ে খারাপ আছেন নারীরা। তাদের কাজ ও শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়েছে।

দেশব্যাপী সশস্ত্র অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। এর পরের এক বছরে আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলার হার কমে গেছে ৫০ শতাংশের বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আফগানিস্তানে শিশু হত্যার দায় স্বীকার যুক্তরাজ্যের

আপডেট সময় : ১১:২৪:০৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

আফগানিস্তনে ৬৪ শিশুর মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি তার জন্য বাহিনীটি ক্ষতিপূরণও দিয়েছে বলে জানানো হয়। আফগানিস্তানে হত্যার শিকার প্রত্যেক শিশুর জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক হাজার ৬৫৬ পাউন্ড দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চালানো ব্রিটিশ অভিযানে ৬৪ শিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এজন্যই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলো। তবে এই সংখ্যা প্রকৃত পক্ষে আরও বেশি। যে সব শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের গড় বয়স ছয় বছর। অধিকাংশ শিশুই বিমান হামলায় নিহত হয়।

এদিকে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে এখন আর যুদ্ধের তর্জন-গর্জন শোনা যায় না। পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে সহিংসতা কমেছে ব্যাপকভাবে। তবে আফগানিস্তানে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য আরও বেড়েছে। সবচেয়ে খারাপ আছেন নারীরা। তাদের কাজ ও শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়েছে।

দেশব্যাপী সশস্ত্র অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। এর পরের এক বছরে আফগানিস্তানে বেসামরিক লোকদের ওপর হামলার হার কমে গেছে ৫০ শতাংশের বেশি।