বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকাছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
আবারও মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ শতাংশের কাছাকাছি

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস শেষে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ঠেকেছে। যদিও আগের মাস ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা কোনভাবেই পূরণ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই)-এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএস জানায়, গত অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর পর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তা কমেছিল। তবে জানুয়ারিতে আবার বেড়ে গেলো। শহর ও গ্রাম-উভয় ক্ষেত্রেই যা বৃদ্ধি পেলো।গত জানুয়ারিতে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। শহরে তা ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মানে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির বেশি ছিল।

বিবিএসের হিসাবে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপায়। জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়েছে। আলোচ্য মাসে পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।

সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে, শিগগিরই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। সেই লক্ষ্যে গত ১৭ জানুয়ারি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবু মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগামী হলো।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে। অর্থনীতির জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব আছে।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ