বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

আবারো হামলার আশঙ্কায় থানচিতে নিরাপত্তা জোরদার

বান্দরবান প্রতিনিধি
আপডেট : এপ্রিল ৫, ২০২৪
আবারো হামলার আশঙ্কায় থানচিতে নিরাপত্তা জোরদার

থানায় হামলার পরদিন থমথমে বান্দরবানের থানচি এলাকা। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যরা আবারো হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

র‍্যাব জানিয়েছে, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে রুমা ও থানচিতে যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। থানচি এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

‘গোয়েন্দা তথ্য বলছে, কেএনএফ সদস্যরা থানার এক থেকে ২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থান করছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সজাগ আছেন। সেনাবাহিনীকে এলাকার সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে। পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন থমথমে। বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ। মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। গাড়িঘোড়াও সড়কে নেই বললেই চলে।’

র‍্যাব মুখপাত্র খন্দককার আল মঈন সকালে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। সশস্ত্র গোষ্ঠী কেএনএফের সদস্যদের আটক করতে সর্বাত্মক কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় সশস্ত্র গোষ্ঠি কেএনএফের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তারা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনায় আসে কেএনএফ। সে ঘটনার পর ২০২২ সালের শেষদিক থেকে অনেকটা নীরব হয়ে যায় গোষ্ঠিটি। এমনকি শান্তি আলোচনায় দাবি-দাওয়া নিয়েও আলোচনায় বসে তারা।

এ বিষয়ে চূড়ান্ত রুপরেখা তৈরিতে আগামী ১৬ এপ্রিল আবারও আলোচনার কথা ছিলো। এর মাঝেই ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে বছরখানেক চুপ থাকার পর পাহাড়ে আবার নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় কেএনএফ।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ