আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে অবস্থান নিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ চাইলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার সঙ্গে রয়েছে দলের শতাধিক নেতাকর্মী।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন এলাকার জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে গুলিস্তান, রায়সাহেব বাজার এলাকায় হয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সামনে এসে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের সহযোদ্ধাদের যদি অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়, তবে আমাদেরসহ পাঠানো হোক।
তিনি আরও বলেন, কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবীরা আদালতের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমাদের বলেছে এই বিষয়টি দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানে, তাদের প্রতি অবিচার করা হবে না। আমাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে কর্মসূচি সমাপ্ত করে কোর্ট প্রাঙ্গণ দ্রুত ত্যাগ করার জন্যে।
নুর বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের ২৪জন নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। তবে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আস্থা রেখে আমারা আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করছি। আমারদের আশা আপনারা আমাদের সহকর্মীদের উপর ন্যায়বিচার করবেন।
তবে আজ যদি তাদের জামিন না হয় তবে সামনে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ অক্টোবর) তাদের হাজির করা হয় আদালতে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল হক তপু মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে হবে আবেদনের শুনানি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।