সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
‘সংবিধান সংশোধন নাকি পুনর্লিখন সিদ্ধান্ত নেবে সংসদ’ ‘জামায়াত ক্ষমতায় আসলে লুটপাট বন্ধ হবে’ শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিএসএফের গুলিতে নিহত ৫৭৯ বাংলাদেশি ভোলায় সাড়ে ৬ লাখ কোটি টাকার গ্যাসের সন্ধান সরকারি চাকরিতে বঞ্চিতদের জন্য বিশেষ কমিটি গঠন কোস্টগার্ডকে আন্তরিক হয়ে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আজ ছুটির দিনেও ১৪০০ কারখানা খোলা ন্যায্য মূল্যে না পেয়ে লোকসান গুণছেন চাষিরা চালু হচ্ছে মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন, খুলছে না মিরপুর-১০ জশনে জুলুসে জনতার ঢল আমেরিকায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই: বাইডেন ট্রাম্পের গলফ কোর্সে হামলাকারী কে এই রুথ? আবারো হত্যাচেষ্টার শিকার ট্রাম্প, সন্দেহভাজন আটক উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া বেকার পড়ে আছে ৪০০ কোটি টাকার ওয়াগন

আর্জেন্টিনায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট ভবন

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুলাই ১০, ২০২২
আর্জেন্টিনায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট ভবন

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ছেড়ে পলায়ন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ইত্যাদি ঘটনায় অনেকটাই চাপা পড়ে ছিল আর্জেন্টিনার পরিস্থিতি। সেখানেও এখন চলছে বিক্ষোভ। আর বিক্ষোভকারীদের চোখ সেই প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকেই।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।

দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার বিক্ষোভকারীরা রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে জড়ো হতে থাকে। মূল্যস্ফীতি ও গলার কাঁটা হয়ে থাকা জাতীয় ঋণের বিরুদ্ধে তারা স্লোগান দিতে থাকে।
এমনিতেই আর্জেন্টিনা সরকার নানা বিভাজনের কারণে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মধ্য-বামপন্থী প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজের ওপর রয়েছে বামপন্থী জোট শরিকদের চাপ। জোট শরিকেরা চায়, করোনা মোকাবিলায় সরকার আরও ব্যয় করুক। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণে আকণ্ঠ ডুবে থেকে আলবার্তো ফার্নান্দেজ তো সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ এসে করোনার ধকলের ওপর চেপে বসায় অন্য অনেক দেশের মতোই আর্জেন্টিনার অবস্থা নাজুক। আগে থেকেই ঋণে ডুবে থাকা এই দেশের জনজীবন এখন ৬০ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতির ধকলে পর্যুদস্ত। এদিকে সংকটের মধ্যেই তাঁর তুলনামূলক নিকট দুই মিত্র জোট থেকে সরে গেছে। গত মাসে তারা সরে যাওয়ার পরই তিনি আরও বিপদে পড়েন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ফুরিয়ে আসছে। দরকারি ওষুধপত্রসহ অতি প্রয়োজনীয় আমদানি ব্যয় করতেও এখন ভাবতে হচ্ছে ফার্নান্দেজকে।

এ অবস্থায় মানুষও অস্থির হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এখনো শ্রীলঙ্কার মতো না হলেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। অনেকেই আর্জেন্টিনার এই সংকটের জন্য আইএমএফকে দায়ী করছেন। তাঁরা বলছেন, যে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের যে ঋণচুক্তি তাদের সঙ্গে রয়েছে, তাই আর্জেন্টিনাকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলেছে। কারণ হিসেবে তারা বলছে, আইএমএফের কঠোর নীতিই এই বিপাকের মূলে।

আলবার্তো ফার্নান্দেজ এখনো ঐক্যের ডাকই দিচ্ছেন। কিন্তু মানুষ কতদিন তা শোনে, তাই এখন দেখার বিষয়।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ