শক্তি হারিয়ে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে আরো দুর্বল হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৫শে অক্টোবর) এটি প্রায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। এদিকে সকালের সোনা রোদ উঁকি দিয়েছে খুলনার আকাশে। সকালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে কেটে যাওয়ায় পূর্ব আকাশের মেঘকে আড়ালে ফেলে সোনালি রোদ হাসি দিয়েছে। শঙ্কা কেটে যাওয়ায় উপকূলে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে।
প্রভাতে মধুময় উষ্ণ সোনা রোদ তাদের ঘুম ভাঙিয়েছে। স্বপ্নিল প্রত্যাশা নিয়ে উপকূলের লাখো মানুষ শুরু করেছে তাদের নতুন যাত্রা। উপকূলের মানুষ ভেবেছিল, ঘূর্ণিঝড় তাদের আবারও এলোমেলো করে দেবে। সেই ভয়ে তারা সাইক্লোন শেল্টারে রাত্রিযাপন করেছেন। কিন্তু সকালে রোদের সোনালি হাসি দেখে তারা ভীষণ খুশি।
যদিও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানায়, সকালে সূর্যের আলো দেখে মনের মধ্যে খুবই ভালো লাগছে। কারণ উপকূলবাসী রাতে সবাই খুবই আতঙ্কের থকলেও এখন কোনো ভয় নাই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ধীরে ধীরে আরও দুর্বল হয়ে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে সোমবার (২৪শে অক্টোবর) মধ্যরাতে ভোলার পাশ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।