ভর্তুকি বাড়তে বাড়তে গড়েছে রেকর্ড। নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নিত্যপণ্যের দামও। এমনই বাস্তবতায় আসছে বিশাল অংকের জাতীয় বাজেট। যার অর্থ সংস্থান নিয়েই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হবে সরকারকে।
যুদ্ধের তাপে টানাপোড়েনে বিশ্ব অর্থনীতি। তার প্রভাবে অস্থির দেশের পণ্যবাজার। অন্যদিকে করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এখনো পুরোপুরি গতি ফেরেনি অর্থনীতিতে। এমন বাস্তবতা মোকাবিলায় পৌনে সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য। যা বছর ব্যবধানে বাড়ছে ৭৪ হাজার কোটির ওপরে। এই অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য থাকছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বড় আয়তনের এই বাজেটে ৬৪ শতাংশ অর্থই যাবে পরিচালন ব্যয় বাবদ। আর সব মিলিয়ে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে ঘাটতি থেকে যাবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটির কাছাকাছি। আর ১২ শতাংশ বাড়িয়ে এনবিআরকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের।
বাজেটের আয়তন বাড়লেও জ্বালানি, সার ও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দরের কারণে আসছে অর্থবছর ১৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ভর্তুকি রাখা হচ্ছে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি। একই সঙ্গে করোনায় নতুন দরিদ্রদের জন্য বাড়ানো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোর আচরণ বদলাচ্ছে দ্রুত। ফলে বাজেট প্রণয়নে মাথায় রাখতে হবে সেসব বিষয়।
নতুন বাজেটে বিনিয়োগের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে জিডিপির সাড়ে ৩১ শতাংশ। আর রেকর্ড ছোঁয়া মূল্যস্ফীতিতে রাখার ইচ্ছা সাড়ে পাঁচের ঘরে।