মাত্র আট বছরের ছোট্ট শিশু ভিকি লিন হসকিনসনকে খুন করেছিল ফ্র্যাঙ্ক অ্যাটউড। সেই অপরাধে ১৯৮৪ সাল থেকে অ্যারিজোনার জেলে বন্দি ৬৬ বছরের এই ব্যক্তি। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কখনোই নিজের অপরাধ স্বীকার করেনি ফ্র্যাঙ্ক৷
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ডেইলি স্টার’র এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল ৩ মে খুনের শাস্তিস্বরূপ ফ্র্যাঙ্ককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে অ্যারিজোনার সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ এর পর ফ্র্যাঙ্কের আর কোনো আবেদন গ্রহণ করবে না আদালত।
আগামী ৮ জুন ফ্র্যাঙ্ক-এর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে আদালত রায়ে জানিয়েছে। মরার উপায় হিসেবে তাকে দু’টি বিকল্পের মধ্যে একটি বেছে নেয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। সে কোন উপায়ে মরতে চায়, সেই সিদ্ধান্ত হবে ফ্র্যাঙ্কেরই।
ফ্র্যাঙ্ককে যে দু’টি বিকল্প দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে বিষ প্রবেশ করিয়ে মৃত্যু। দ্বিতীয়টি, নিশ্বাসের মাধ্যমে বিষাক্ত সায়ানাইড গ্যাস ঢুকিয়ে মৃত্যু। ১৯ মে-র মধ্যে ফ্র্যাঙ্ককে নিজের সিদ্ধান্ত আদালতকে জানিয়ে দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লাখ লাখ বন্দীকে মেরে ফেলতে হিটলার-বাহিনী সায়ানাইড গ্যাসকেই বেছে নিয়েছিল। সায়ানাইড গ্যাস শরীরে ঢুকলে একজন ব্যক্তিকে প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট ধরে কষ্ট সহ্য করতে হয়। ব্যাপক কষ্ট সহ্য করে অবশেষে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
তবে ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবীরা সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই সরব হয়েছেন। সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ডের এই রায় ‘ভয়ঙ্কর’ বলে মন্তব্য করেছেন ফ্র্যাঙ্কের আইনজীবী জোসেফ পারকোভিচ।
ফ্র্যাঙ্ক যদি মৃত্যুর উপায় হিসেবে সায়ানাইড গ্যাস বেছে নেয়, তাহলে সে হবে এই শতাব্দীর প্রথম অপরাধী যে স্বেচ্ছায় সায়ানাইড ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড গ্রহণ করবে।