আসামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। বন্যার কারণে রাজ্যটির আড়াই হাজারের বেশি গ্রামের আট লাখের বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এপর্যন্ত বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
রাজ্যের যমুনামুখ জেলার ৫ শতাধিক পরিবার পলিথিনের তাবু খাটিয়ে রেললাইনের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। পাটিয়া পাথার, চাঙ্গুরাইসহ বেশ কিছু গ্রামের ঘরবাড়ি, ফসলসহ বেশিরভাগ জিনিসই পানিতে তলিয়ে গেছে। গেল পাঁচদিন ধরে এসব অঞ্চলে ত্রাণসহ কোন সরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। খাদ্য, পানিসহ প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাবে এসব মানুষ অমানবিক জীবন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রচুর ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৮০০৩৬.৯০ হেক্টর জমি জলার তলায় ডুবে গিয়েছে। ২৯টি জেলার ২,২৫১টি গ্রাম বিপর্যস্ত। ২৩৪টি ক্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৪,৭০৫ জনেরও বেশি মানুষ। ডিমা হাসাও, কাছাড়, ডিব্রুগড়, কামরূপ সহ বিভিন্ন জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুর্গতদের জন্য ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের তরফে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।