ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে হুশিয়ারি করেছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থোনিও গুতেরেস। ইউক্রেনে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, এই যুদ্ধে মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ইউক্রেন যদি যুদ্ধ শুরুর আগের মাত্রায় রপ্তানি ফের শুরু করতে না পারে তাহলে বিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে আর সেই দুর্ভিক্ষ কয়েক বছর চলবে।
এই যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর থেকে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বন্দর থেকে এক সময়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমূখী তেল, ভুট্টা এবং গমের মতো খাদ্য শস্য রপ্তানি হয়েছে। এতে বৈশ্বিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর বিকল্পগুলোর দাম বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছর বিশ্বে খাদ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার (১৮ মে) নিউ ইয়র্কে অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন এই সংঘাত লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার কিনারায় নিয়ে গেছে, এর জেরে অপুষ্টি, গণ ক্ষুধা এবং দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা যদি যৌথভাবে এগিয়ে আসি তাহলে পৃথিবীতে যথেষ্ট খাবার আছে। কিন্তু এই সমস্যা যদি আজই সমাধান না করি, তাহলে আমরা সামনের মাসগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতির ভূতের মুখোমুখি হবো।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনের খাদ্য উৎপাদন রাশিয়া ও বেলারুশের সার উৎপাদন ফের শুরু করা, ছাড়া খাদ্য সংকটের আর কোনও কার্যকর সমাধান নেই।
এসময়, দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য রপ্তানী স্বাভাবিক রাখতে ইউক্রেনের বন্দরগুলো খুলে দেয়ার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য বিষয়ক প্রধান।
এদিকে, দেশটিতে রাশিয়া এ পর্যন্ত দু’হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
ইউক্রেনে প্রথম যুদ্ধাপরাধের জন্য এক রুশ সেনাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ৬২ বছর বয়সী এক বেসামরিককে গুলি করে হত্যার দায়ে তিনি অভিযুক্ত হন।
এদিকে দোনেৎস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলায় দুই শিশুসহ ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার আঞ্চলিক গভর্ণর।