সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
প্লট গ্রহণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পরিবারের বিরুদ্ধে তিন মামলা ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন রুপির দাম দ্রুত নির্বাচন না দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন: কর্নেল অলি যে জমি পছন্দ হতো, শেখ হাসিনা তা নিজের করে নিত: রিজভী নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম যেভাবে শপথ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্থাপনের ২০ বছরেও চালু হয়নি বিরল স্থলবন্দর গ্রিনল্যান্ড কিনতে কত লাগবে? চলছে বিশ্বজুড়ে আলোচনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে কানাডা, সহায়তার ঘোষণা চীনের যুদ্ধবিরতির পরও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়িতে ফিরতে পারছে না লেবানিজরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেন-নেতানিয়াহুর ফোনালাপ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আম্পায়ারিংয়ে বাংলাদেশের জেসি মাদ্রিদকে ৪-এর পর এবার ৫ গোলে ভাসাল বার্সা তারা শক্তেরই যম, নরমে তাদের শরম

ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা, নিহত ৪৩

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মে ১০, ২০২২

লাতিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের কারাগারে ভয়াবহ দাঙ্গায় কমপক্ষে ৪৩ জন বন্দি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে আরও অনেকে। ঘটনার পর ওই কারাগারের ১০৮ বন্দীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

স্থানীয় সময় সোমবার (৯ মে) দেশটির সান্তো ডমিঙ্গো কারাগারে বন্দি থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর সদস্যদের দাঙ্গায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

কারাগারে থাকা লস লোবোস এবং আর-৭ নামের বিরোধী দুটি গ্যাংয়ের বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ইকুয়েডরের সরকারি কৌসুলির কার্যালয়ের ভাষ্যমতে, ‘‘এখন পর্যন্ত ৪৩ জন বন্দি নিহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দেওয়া গেছে।’’

এদিকে কারাগারে দাঙ্গার পর সেখানকার অনেক বন্দি পালিয়ে যান। ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও ক্যারিলো সাংবাদিকদের জানান, পালিয়ে যাওয়া ১১২ জন বন্দিকে পুনরায় আটক করা হয়েছে, ১০৮ জন বন্দি এখনও পলাতক রয়েছে।

জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আদালতের আদেশের পরে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতাকে সান্তো ডোমিঙ্গো শহরের বেলাভিস্তা কারাগারে স্থানান্তর করার পর দাঙ্গা শুরু হয়। মূলত আদালতের আদেশে ওই ব্যক্তিকে স্থানান্তর করায় বন্দিদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকতে পারে।

ইকুয়েডরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় উভয়ই দাঙ্গায় ৪৩ জন বন্দি নিহতের কথা জানিয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিও ক্যারিলো বলেছেন, ‘‘নিহতদের বেশিরভাগকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।’’

ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। মাদক, বিশেষ করে কোকেনের চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দের কারণেই দেশটির কারাগারগুলো দিন দিন যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।

গতবছর ইকুয়েডরজুড়ে বিভিন্ন কারাগারে দাঙ্গায় ৩১৬ জন বন্দির মৃত্যু হয়। সূত্র: রয়টার্স


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ