বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনে টঙ্গীতে জুমার নামাজ আদায় করেছেন লাখো মুসল্লি। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়। এতে যোগ দিয়েছেন অন্তত ৫০ টি দেশের মুসল্লিরা।
সকালে ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৩ দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তবে এর আগে থেকেই দেশ বিদেশের লাখো মুসল্লীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর।
বরাবরের মতো এবারও ইজতেমার প্রথম দিন তুরাগ তীরে হয় জুম্মার নামাজের বৃহৎ জামাত। লাখো মানুষের সাথে নামাজ আদায় করতে তুরাগ তীরে ছুটে আসেন ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা। বেশি সোয়াব আর দোয়া কবুলের আশায় বৃহৎ জামাতে নামাজ আদায় করেন বলে জানান, আগত মুসল্লিরা।
নামাজ আদায় করা এক মুসল্লি বলেন, ‘লাখ লাখ মুসল্লিকে নিয়ে জামায়াত। এই জামায়াতে নামাজ পড়লাম। সব মুসল্লির জন্য দোয়া করলাম। বিশ্ববাসীর জন্য দোয়া করেছি। হেদায়াতের জন্য দোয়া করেছি। ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য দোয়া করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমরা দোয়া করেছি।’
এদিকে, জুমার নামাজের পরপরই আবার শুরু হয় আনুষ্ঠানিক বয়ান। ১০৫টি খিত্তায় বিভক্ত ময়দানে অবস্থান করা মাওলানা জোবায়েরপন্থীরা মনোযোগের সাথে শুনেন সেই বয়ান। এবারের ৫৭ তম আয়োজনে যোগ দিয়েছেন ৫০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা এক হাজারের বেশি মুসল্লি।
ইজতেমায় যোগ দেওয়া এক বিদেশি মুসল্লি বলেন, ‘আমি এখানকার বাজারগুলোতেও ঘুরেছি। ধর্মীয় বিষয়ের পাশাপাশি এই দেশের সংস্কৃতিটাকেও বুঝার চেষ্টা করছি। এটা মুসলমানদের আয়োজন। আমি প্রথম এসেছি এখানে। এই দেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আশা করি, আমি আবারো আসার সুযোগ পাবো।’
এদিকে ইজতেমা সফল করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা সামগ্রিক নিরাপত্তায় থাকবেন। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশন থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ইজতেমার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও আছেন। আমরা ৫টি পয়েন্টে, ইজতেমা ময়দানে এবং দুইটি রেল স্টেশনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছি।’
প্রথম ধাপের এই ইজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার। এরপর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের পর্ব শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।