এক কোটি ৩১ লাখ লিটার অপরিশোধিত পাম তেল নিয়ে কাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করছে ইন্দোনেশিয়ার পাতাকাবাহী জাহাজ এমটি সুমাত্রা পাম। রফতানি নিষেধাজ্ঞার আগের দিন শেষ মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়ার বন্দর ত্যাগ করতে পেরেছে চট্টগ্রামমুখী এই জাহাজটি।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ভেসেলফাইন্ডার এবং জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদী ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পাম তেল রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়া ২৮ এপ্রিল থেকে পাম তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় রপ্তানি করায় দুটি জাহাজ আটকও করে দেশটির নৌবাহিনী।
তবে নিষেধাজ্ঞার আগের দিন ইন্দোনেশিয়ার বন্দর ত্যাগ করতে পেরেছে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি।এমটি সুমাত্রা পাম নামের এইজাহাজটিতে ১ কোটি ৩১ লাখ লিটার পাম তেল রয়েছে। টি কে গ্রুপ এই তেল আমদানি করেছে।
জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ভেসেলফাইন্ডারে দেখা যায়, ২৭ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার ডুমাই বন্দর থেকে জাহাজটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদী ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফ জানান, জাহাজটি ৬ মে শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার শিডিউল রয়েছে। আবহাওয়া অনকূলে থাকায় শিডিউলে হেরফের হবে না বলে জানান তিনি।
ভেসেলফাইন্ডারেও দেখা যায়, জাহাজটি ৬ মে শুক্রবার দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার শিডিউল রয়েছে।
এনবিআর এর তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আগে এপ্রিল মাসের ২৮দিনে ১২ কোটি লিটার পাম তেল আমদানি করেছেন এ দেশের ব্যবসায়ীরা। আমদানির পর এই তেল রাখা হয় কাস্টমস বন্ডেন্ড ট্যাংক টার্মিনালে।
একই সময়ে পরিশোধনের জন্য কারখানায় নেওয়া হয়েছে ১৩ কোটি লিটার পাম তেল। ট্যাংক টার্মিনালে আগের মজুত থাকায় আমদানির চেয়ে খালাসের হার ছিল বেশি।
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ১৩ লাখ টন পাম তেল আমদানি হয়। যার ৯০ শতাংশ আমদানি হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। মালয়েশিয়ার চেয়ে তুলনামূলক কম দামের কারণেই ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি পাম তেল আমদানি করা হয়। মালয়েশিয়া থেকে আমদানি হয় ১০ শতাংশ।