গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেলকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তবে তার স্ত্রী কোম্পানিটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এই আদেশ দেন। রাসেল ও শামীমার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলেও তা নাকচ করে দেন বিচারক।
গুলশান থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাসেল ও শামীমাকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। তাদের দুজনকেই ধানমণ্ডি থানার একটি মামলায় সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন এসআই নাজমুল হুদা। অন্যদিকে দুই আসামির পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক শিহাব ও তাপস পাল। অন্যদিকে দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী ব্যরিস্টার এম মনিরুজ্জামান আসাদ রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক রাসেলকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন এবং শামীমাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গত ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এরপর সেদিনই মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ওই দম্পতিকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রাসেল ও শামীমা রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ধানমণ্ডি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন কামরুল ইসলাম চকদার নামের গ্রাহক। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার রাসেলকে নতুন করে রিমান্ডে পাঠান আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চুক্তির মাধ্যমে বাদীর চারটি কোম্পানি থেকে ইভ্যালিকে মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার পণ্য সরবরাহ করা হলেও দাম পরিশোধ করা হয়নি। এসব পণ্যের দাম বাবদ ইভ্যালি চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা দুইবার ফেরত আসে।