পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করা ছিল‘অসাংবিধানিক’ বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে জাতীয় পরিষদ পুনর্গঠন এবং স্পিকারকে অধিবেশন ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া রিভিউ পিটিশন খারিজ করে শনিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে রায় দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে দেশটির প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আতা বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় ঘোষণা করেন।
ইমরান খান হারলে তিনিই হবেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে। এর আগে আরও দুই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে তারা ভোটের আগেই পদত্যাগ করেছেন।
গত রোববার (৩ এপ্রিল) ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। প্রধানমন্ত্রীর অনুগত বলে পরিচিত সুরি বলেছিলেন, প্রস্তাবটি সংবিধানবিরোধী।
এর কয়েক মিনিট পরে নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
নতুন নির্বাচন ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, এটি অক্টোবরের আগে করা যাবে না।
এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করে বিরোধী দলগুলো স্পিকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব থাকলে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া যাবে না।
এদিকে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি টুইট করেন, ‘গণতন্ত্র হলো সেরা প্রতিশোধ! পাকিস্তান জিন্দাবাদ’।
এছাড়া যিনি ইমরান খানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরীফ টুইট করেন, ‘একটি যুগান্তকারী দিন! যারা সংবিধান সমুন্নত রাখার পক্ষে সমর্থন, রক্ষা এবং প্রচারণা চালিয়েছেন তাদের সবাইকে মোবারকবাদ। আজ মিথ্যা, প্রতারণা ও অভিযোগের রাজনীতি চাপা পড়ে গেছে। পাকিস্তানের জনগণের জয় হয়েছে! আল্লাহ পাকিস্তানের মঙ্গল করুন।’ সূত্র : ডন, এনডিটিভি