ইরানের হামলার পর স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরেছে তেলআবিব ও জেরুজালেম। রাস্তাঘাট, ক্যাফে-রোস্তোঁরায় আড্ডা-গল্প। ইসরাইলি নাগরিকরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চান না তারা। সমস্যা সমাধানে উভয়পক্ষকেই সংযত আচরণের আহ্বান তাদের।
জেরুজালেমে ইসরাইলি নাগরিকদের এক অন্যরকম সকাল। ইসরাইলের মাটিতে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানোর পর সবার কপালেই চিন্তার ভাঁজ। আড্ডা বা ঘরোয়া বৈঠকে চায়ের কাপে গল্প জমলেও খবরের কাগজেই চোখ সবার।
ইসরাইলে ইরানের হামলার জেরে বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি কথার লড়াইয়ে মুখর অলিগলি। প্রায় ৫০ বছর ধরে চলা দুই দেশের বৈরি সম্পর্ক আবারও হয়েছে উত্তপ্ত। যদিও জেরুজালেমের ইসরাইলি নাগরিকরা বলছেন, ইরানের সঙ্গে কোন যুদ্ধে জড়াতে চান না তারা। কঠিন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা জানান ইসরাইলিরা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘বেশ ভীতিকর পরিস্থিতি ছিল যখন মধ্যরাতে আমরা বোমার শব্দ শুনতে পাই। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ইরান বড় এবং শক্তিশালী দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড আমাদের সমর্থন করছে, আশা করি এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপদে থাকতে চাই। আমরা কেউই যুদ্ধ চাই না, আশা করি ইরান এখানেই থেমে যাবে, উত্তেজনা সংঘাত থামাতে হবে।’
অন্য একজন ইসরাইলি নারী বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমরা খুবই বিরক্ত। আমরা হামাসের সাথে যুদ্ধ চাইনি, কিন্তু তারা আমাদের আক্রমণ করেছে। আমরা ইরানের সাথেও যুদ্ধ চাই না, এটা আমাদের মাতৃভূমি, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।’
শুধু জেরুজালেম নয় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরেছে তেল আবিবেও। রাস্তায় গণপরিবহন কিছুটা কম থাকলেও ক্যাফে, রেস্তোঁরায় চলছে জমজমাট আড্ডা। দেশজুড়ে আলোচনা তুঙ্গে ইরান- ইসরাইল দ্বৈরথ।
একজন ইসরাইলি তরুণী বলেন, ‘শতশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অত্যন্ত ভীতিকর ছিল। যদিও ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের ফলে এখন আর কিছু ভয় পাই না। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া সত্যিই প্রয়োজন।
আমি আনন্দিত ইরানের হামলায় কেউ আহত হয়নি, আমাদের ভাল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এটি মোটেও হওয়া উচিত নয়, ইসরাইলে কেউ আক্রমণ করুক এটা কাম্য নয়।’
গাজায় আগ্রাসন শুরু পর থেকেই বেশ চাপে রয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের মতো শক্তিশালী দেশের সঙ্গে নতুন করে ইসরাইল সংঘাতে জড়াবে কি না এমন প্রশ্ন সবার মনেই।