ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরফলে যে কোনো সময় দেশ দুটি লক্ষ্য করে হামলা চালাবে মার্কিন সেনারা। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক কর্মকর্তা ।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থানরত ইরানের সেনা, অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা কয়েকদিনে চালানো হবে। তবে হামলা চালানোর আগে অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। যেন কোনো বেসামরিক মানুষ হতাহত না হন।
গত সপ্তাহে জর্ডানে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের টাওয়ার-২২ নামের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী। ওই হামলার জবাব দিতে এখন ইরাক ও সিরিয়ায় হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেদিনের হামলায় তিন সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৪১ জন আহত হন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, ইরানের সহায়তায় তাদের সেনাদের ওপর হামলার চালানো হয়েছে। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এই হামলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নয়।
প্রথমে এই হামলার জন্য সরাসরি ইরানের ভূখন্ডে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মার্কিন আইনপ্রণেতা। সেই সময় ইরান হুমকি দিয়েছিল, যদি তাদের ভূখন্ডে কোনো ধরনের হামলা হয়; তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হবে। যদিও তারা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চায় না। কিন্তু যুদ্ধকে ভয়ও পায় না।
হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর ইয়েমেনকে লক্ষ্য করে আকাশ ও সাগর থেকে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই হামলায় সাবমেরিনও ব্যবহার করা হয়েছিল।