গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকেও হামলা চালানো হয়। হামলার পরেই রোববার (১৪ই এপ্রিল) ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করার এক বৈঠক করেছে। তবে এ আলোচনায় পরবর্তী কোন পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে এক ইসরাইলি কর্মকর্তা।
ইরানের এ হামলায় ইসরাইলের প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে হাগারি সরাসরি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, ইসরাইল সর্বোচ্চ সতর্ক ও যেকোন কিছুর জন্য প্রস্তুত আছে।’’
ইরানের হামলায় কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী-আইডিএফ বলেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনও প্রতিহত করা হয়েছে। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই মিত্রদের সঙ্গে কৌশলগত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে এই হামলা প্রতিহত করেছে তারা। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ইরান ও ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৮০টি ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।
তবে ইসরাইলে হামলা চালিয়ে ইরান প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি। তিনি বলেছেন, যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে, তার একটি অংশ সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পেরেছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের যেকোনো অংশ থেকে ইরানের ওপর ইসরাইল হামলা চালালে তার জবাব ইরানের মাটি থেকেই দেওয়া হবে।
পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে অবস্থিত ইরানের একটি কনস্যুলার ভবনে হামলা করে ইসরাইল, এসময় দুই ইরানি জেনারেলও নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলে রোববার (১৪ই এপ্রিল) হামলা চালায় ইরান।