বৃত্তান্ত প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ও আগ্রহীদের কাছে নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তির পর এবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি দেওয়ার কথাও ভাবছে রাষ্ট্রপতি গঠিত সার্চ কমিটি।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এমন অনুরোধ পাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে কমিটি এমন চিন্তা শুরু করেছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
সার্চ কমিটির বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন পেলে মঙ্গলবার রাতেই দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়ে চিঠি পাঠানোর কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার রাতে ফের বৈঠক করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম সুপারিশের জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গঠিত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরআগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে প্রথম বৈঠক করেছিলেন সার্চ কমিটি।
কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর ধারা ৩ মোতাবেক দেশের পরবর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দানকারী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরাসরি, ডাকযোগে বা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ই-মেইলে প্রস্তাবিত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানাসহ পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নেই।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চটা দিতে চাই। এ জন্যই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আগ্রহীদের নাম চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়েছি। তবে বিষয়টির প্রতি আস্থা-নিরপেক্ষতা বাড়ানো এবং রাজনৈতিক দলগুলের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য চিঠি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমকর্মী বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধও করেছেন। তাই এ নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বৈঠকে।
তিনি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি আন্তরিকভাবে নিয়েছেন অনেকে। এর অংশ হিসেবে কেউ কেউ আগ্রহ প্রকাশ করে জীবনবৃত্তান্ত ইমেইলে এবং সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন। আমরা সানন্দে তা গ্রহণ করে ফাইলিং করছি। অনেকে বিদেশ থেকেও মেইলে জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছেন। চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও কয়েকজন সদস্য আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই যুগ্মসচিব।