সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
রাজনৈতিক ভুল করলে বিএনপিকেও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: তারেক রহমান এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৪৫.৬২ বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্টিনার বাণিজ্য সহযোগিতার আহ্বান আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিস্ফোরক মামলায় ২৫০ আসামির জামিন আমি যেখানেই দাঁড়াবো সেখানেই জিয়াকে খুঁজে পাবো: গয়েশ্বর নানা নাটকীয়তার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রক্ত ঝরবে কিন্তু দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একসাথে চলবে: মির্জা ফখরুল নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যেই ঢুকতে চায় না: সিইসি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি পিছিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য ‘রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের অর্থ পরিশোধের জটিলতা দ্রুতই কেটে যাবে’ দেশে চাহিদার বিপরীতে ২ শতাংশ চিনিও উৎপাদন হচ্ছে না কম সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে: শফিকুল আলম ২৬ জানুয়ারির মধ্যে সেনা সরাতে ইসরায়েলকে আলটিমেটাম লেবাননের

ঈদে গাজায় ৪৩ হাজার শিশুর পাশে নেই কেউ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : এপ্রিল ১০, ২০২৪
ঈদে গাজায় ৪৩ হাজার শিশুর পাশে নেই কেউ

রমজান মাসের শেষে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর যখন মুসলিমরা উদযাপন করছে, তখন গাজার শিশুরা বলছে তাদের কাছ থেকে ঈদের আনন্দ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি শিশু বাস করে যাদের একজন বা বাবা-মা উভয়ই নেই। সঠিক পরিসংখ্যান বের করা কঠিন, কিন্তু ইউনিসেফ ধারণা করেছে যে, গাজা ভূখণ্ডে অন্তত ১৭ হাজার শিশু সঙ্গীহীন অবস্থায় রয়েছে অথবা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাবা -মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা হয়ে পড়েছে।

সাধারণত ঈদ বলতে পরিবারের সদস্যদের জমায়েত এবং এই উৎসব পালন করতে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করাকে বুঝায়। কিন্তু এ দুইটিরই অনুপস্থিতি ও চলমান যুদ্ধের কারণে শিশুদের শুধুমাত্র তাদের আগের স্মৃতি ধারণ করেই থাকতে হবে। গাজাবাসীদের টেবিলে ঈদে যেসব খাবার থাকে তার অন্যতম হচ্ছে সুমাকিয়া (মাংসের ঝোল) এবং ফাসিখ (লবণাক্ত মাছ)। কিন্তু উৎসবের প্রধান আকর্ষণ থাকে ঈদ বিস্কুট।

এমন কোন ক্যাম্প নেই যেখানকার শিশুরা একজন বা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে- এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যায় নি। যেমন লায়ান ও তার ১৮ মাস বয়সী বোন সিয়ার। তাদের পরিবারে একমাত্র তারাই এখন বেঁচে রয়েছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা গাজায় অক্টোবরের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে শহরের আল আহলি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলো। সে সময় তারা নিহত হয়। লায়ান সেই রাতে তার পরিবারের ৩৫ সদস্যকে হারায়। তাদের মধ্যে বাবা–মা ও নিজের পাঁচ ভাই বোন ও ছিলো।

আমাদের পরিবার হাসপাতালে পৌঁছানোর মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে দুইটা ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের ওপর আঘাত করে। আমি জেগে উঠে দেখলাম, আমার পরিবারের সব সদস্যরা টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। গাজা শহরের জনাকীর্ণ হাসপাতালে এই হামলায় শত শত লোক নিহত হয়।

যুদ্ধে সবকিছু নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার আগে, লায়ান ঈদের আগে বাবা-মার সঙ্গে নতুন জামা কিনতে যেতো। তারা ঈদে বিস্কুট বানাতো যা স্থানীয়ভাবে এটি ‘মামোল’ নামে পরিচিত। তারা পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করতো। কিন্তু এই বছর আর কোন পারিবারিক জমায়েত হবে না। এই ঈদে কেউ তাদের দেখতে আসবে না।

লায়ানের মতো তার আরেক কাজিন ১৪ বছর বয়সী মাহমুদও যুদ্ধে অনাথ হয়েছে। মাহমুদ তার বাবা-মা ও বেশিরভাগ ভাই-বোনকেই আল আহলি হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার একই ঘটনায় হারিয়েছে। যখন ওই হামলা হয় তখন সে বাইরে তার পরিবারের জন্য পানি আনতে গিয়েছিলো। সূত্র: বিবিসি


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ