উত্তর কোরিয়া পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়েচভেলে। ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তার প্রতিক্রিয়ার উদ্বেগ জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা একটি মধ্যবর্তী রেঞ্জের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপনের বিষয়টি সনাক্ত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মতে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৩ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটি এমন একটি বিষয় যা শুধুমাত্র আমাদের দেশের নিরাপত্তা নয়, এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্যও উদ্বিগ্ন। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সমুদ্রে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটির উড়ন্ত পাল্লা ছিল প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।
এদিকে, জাপানের সামরিক বাহিনী অনুমান করেছে যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় গিয়ে ৬৫০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষবস্তুতে আগাত করতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীকে লক্ষ্য করে নির্মিত আর্টিলারি সিস্টেমের একটি লাইভ-ফায়ার ড্রিল তদারকি করার পর মার্চের পর পিয়ংইয়ং এই প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়ল।
রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আরও বেড়েছে। উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যেও দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান তাদের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়িয়েছে।