একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে। এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উন্নত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এবারের ঈদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ গ্রামে গিয়ে ঈদ করেছে, এতে অর্থনীতির প্রবাহ বেড়েছে। এরপরও একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করে। আওয়ামী লীগ কখনোই ভোটে পিছিয়ে ছিলনা। নানা ষড়যন্ত্র করে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমরা এগিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বিদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। বিদেশীরা যেন তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ সেই বাস্তবতায় নেই। জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে। পাকিস্তানি স্টাইলে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ চালু করেছিল। তারা সবাই মানুষ হত্যা করেছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপিকে মানুষ ভোট দিবে কেন? এদের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন এতিমের টাকা চুরি করে কারাদণ্ড ভোগ করছেন, অন্যজন দুর্নীতির মামলায় বিদেশে পালিয়ে আছেন। দেশবাসী আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে দিব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশ কারো কাছে মাথা নিচু করে চলবে না। নিজস্ব অর্থায়নে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবে। এসময় তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দেশের বর্তমান উন্নয়ন কর্মসূচির ৯০ শতাংশের বেশি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
টানা তিন মেয়াদে নিজের সরকার আমলে দেশ ও মানুষের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে একটা মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। সেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঈদের আগে ৩৩ হাজার ঘর দিয়েছি, জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দেব। বাকি থাকবে আরও ৪৫ হাজার গৃহহীন পরিবার। এদেরও ঘর দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না।
এবারের ঈদে রাজধানী ছেড়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি গেছে মানুষ। সেই স্বস্তিতেই ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। এজন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শুরু হয়। শুরুতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি সারাদেশে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে দলের নেতাদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এসময় তিনি নির্ধারিত সময়েই আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে বলে আশ্বাস দেন।