একনেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ৭ প্রকল্পের অনুমোদন

- আপডেট সময় : ১০:৫১:০৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২ ০ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার ৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে চলতি অর্থবছরের (অর্থবছর ২৩) ৬ষ্ঠ একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ এবং কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর পাশাপাশি জেটি নির্মাণের জন্য একটিসহ ৩ হাজার ৯৮১.৯০ কোটি টাকার মোট সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প।
নগরীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, সভায় মোট সাতটি প্রকল্পের জন্য আনুমানিক মোট ব্যয় ৩ হাজার ৯৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে, বাংলাদেশ সরকারের অংশ থেকে আসবে ৩ হাজার ৩৯২.৩৩ কোটি টাকা । আর ২৬৭.৩৫ কোটি টাকা আসবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৩২২.২১ কোটি টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে পুরো সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৯১৩.৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেটি নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সন্দ্বীপ অংশে জেটি নির্মাণের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে (বিএসএমএসএন) একটি জেটি নির্মাণ খুবই প্রয়োজন। জেটিটি নির্মিত হলে, তা সেখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম সহজতর করবে এবং এতে রাজস্ব আয়ের পথ সুগম হবে। মূল প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ২৫.৮৬ একর জমি অধিগ্রহণ, ৩.৯৫ লাখ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ২৩ হাজার ৪৮৮ বর্গ মিটার বন্দর ভবন নির্মাণ, ২৩ হাজার ৪৮৮ বর্গ মিটার ইনডোর নন স্ট্রাকচারাল ফিনিশিং কাজ, ৭৫ হাজার ৪৮০.৬০ বর্গমিটার আরসিসি জেটি নির্মাণ, ৩ হাজার ৮৩০ বর্গ মিটার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ৮ হাজার ৪৮৪ বর্গ মিটার পার্কিং ইয়ার্ড, ২৪ হাজার বর্গ মিটার সংযোগ সড়ক, ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩০ ঘনমিটার খনন কাজ, ৫ হাজার ৬৫ বর্গ মিটার কাঠের জেটি ও প্রবেশ পথ নির্মাণ, ৩০০ মিটার ব্রেক ওয়াটার এবং নৌবাহিনীর জন্য ১৪টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সংগ্রহ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়ার সাথে দেশের অন্যান্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার যাতায়াতের সময় ও পরিবহন খরচ কমবে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন ৯৬৩.৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো এবং জোন ২ ও জোন ৪ এর সার্ভিস প্যাকেজ উন্নয়ন প্রকল্প, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ৯২.১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য উন্নয়ন, ২৬১.৫৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত বারোয়ারহাট-হেয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ১৮৩.৪১ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়কের উন্নয়ন, ৬৫.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৫০২.৪১ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ে প্রথম সংশোধিত চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প।