শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশের চোখ আটকে আছে – ৩০৮! তিন পার্বত্য জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান ড. ইউনূসের আগামী মঙ্গলবার নিউইয়র্ক যাবেন প্রধান উপদেষ্টা পূর্বাঞ্চলের বন্যায় ২০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণ করেছে বিএনপি গাছ কাটা থেকে পরীক্ষা সবখানেই রূপার ভাগ রাঙামাটিতে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, ১৪৪ ধারা জারি ‘ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেওয়ারা কোথায়’ বিএনপির ত্রাণ তহবিলে এখনও ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ মাধ্যমিক পর্যায়ে এখনো ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে! কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা আইন হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স শামীম হত্যা: জাবির ৮ শিক্ষার্থীর নামে মামলা খাগড়াছড়িতে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩, ১৪৪ ধারা জারি সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান কারাগারে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৪০

একবছরে ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুন ৩, ২০২৪
একবছরে ৯১ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান

দেশে গত একবছরে ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালান হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)। সোমবার (৩ জুন) সকালে বাজুসের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস কার্যনির্বাহী কামিটির সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান-স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান মাে. রিপনুল হাসান, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, কার্যানির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মাে. রিপনুল হাসান বলেন, প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনাে জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসাবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি। পুরো এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করেন। চলমান ডলার সংকটে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় বাজুস।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে যদি বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ জমা পড়ত। এ থেকে সরকার রাজস্ব পেতো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার দাম বৃদ্ধি এবং বেপরোয়া চোরাচালানের কারণে বহুমুখী সঙ্কটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। এ পরিস্থিতিতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের পাশাপাশি ৭ দফা সুপারিশ করে বাজুস। এ সময় চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা কাস্টমসের তথ্যমতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২ দশমিক ৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫ দশমিক ৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫ দশমিক ৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১ দশমিক ৪৬৮ টন স্বর্ণের বার ব্যাগেজ রুলের আওতায় আমদানি হয়েছে।

এছাড়া, ২০২০ থেকে ২০২২ সালে শিল্পে ব্যবহারের জন্য ৪টি চালানে ২ কেজি ১৬০ গ্রাম হীরা আমদানি করা হয়েছে। তবে কোনো হীরার অলঙ্কার আমদানি হয়নি। গত ১৯ বছরে যত হীরা আমদানি হয়েছে, তার ৮৭ শতাংশই আনা হয়েছে ভারত থেকে। ভারতের গুজরাটের সুরাটে বিশ্বের ৬৫ শতাংশের বেশি হীরা কাটিং ও পলিশিং করা হয়।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ