একুশে পদকজয়ী নন্দিত অভিনেতা মাসুম আজিজ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার (১৭ই অক্টোবর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
মাসুম আজিজের ছেলে উৎস জামান জানান, মঙ্গলবার অভিনেতার মরদেহ নেয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয় ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন মাসুম আজিজ। ক্যান্সার ও হৃদরোগে ভুগছিলেন তিনি। এ বছরের ২ জানুয়ারি তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। ক্যান্সারের প্রথম ক্যামো এ হাসপতালে দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ক্যামোর দ্বিতীয় পর্বে এসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
মাসুম আজিজ এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতের অনেকেই।