এশিয়ার স্পট মার্কেটে চলতি সপ্তাহে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম কমেছে। ব্যাপক মজুত ও সরবরাহ বাড়ায় এ নিম্নমুখিতা তৈরি হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগামী ডিসেম্বরের এলএনজির গড় সরবরাহ মূল্য প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটে (এমএমবিটিইউ) দাঁড়িয়েছে ৩০ ডলারে। গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১ ডলার বা ৩ দশমিক ২ শতাংশ কম।
উপাত্ত বিশ্লেষণধর্মী প্রতিষ্ঠান কেপলারের গ্যাস ও এলএনজি বিশ্লেষক রাহানা রাশিদি বলেন, উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় এলএনজিরপর্যাপ্ত মজুত আছে। এছাড়া নভেম্বর ও ডিসেম্বরের জন্য জ্বালানি পণ্যটির যথেষ্ট কার্গো বুক করা হয়েছে। ফলে এখন তা আর কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না এ অঞ্চলের ক্রেতারা।
রিফিনিটিভের বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনে নতুন করে করোনা বিধি আরোপ করায় এলএনজির চাহিদা কমবে। এর মানে হচ্ছে, ইউরোপে জ্বালানি পণ্যটি অধিক সরবরাহ করতে হবে। ইতোমধ্যে সেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে এলএনজি ভর্তি ডজন ডজন জাহাজ স্পেনের উপকূলে ঘোরাফেরা করছে। সেগুলো এখন খালাসের অপেক্ষায়।
ঘনিয়ে আসছে শীতকাল। সেসময়ে ইউরোপে গ্যাসের মূল্য আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় এশিয়ার স্পট মার্কেটে এলএনজি পেলে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন ওই অঞ্চলের লোকজন।