এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দিয়েছিল থাইল্যান্ডের মেয়েরা। তারপর টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে সেমিতে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখে তারা। আর তাদের সে স্বপ্ন ধরা দেয় বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যকার ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে। এতে টাইগ্রেসদের কপাল পুড়লেও মুখে হাসি ফুটে থাই মেয়েদের। কেননা তারা যে প্রথমবারের মতো সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
থাইল্যান্ডের সেমিফাইনাল নিশ্চিতের পর প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় এ আসরের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন ভারতকে। তখন ধারণা ছিল থাইদের বিপক্ষে সহজ জয়ই পাবে স্মৃতি মান্ধানা, হারমানপ্রীতরা। হয়েছেও তাই। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডকে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। এর আগের সাত আসরেও ফাইনাল খেলেছিল ভারত। তবে ২০১৮ সালের ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে শিরোপা হাতছাড়া হয় ভারতীয়দের। বাকি ছয়বারই শিরোপা নিজেদের ঘরে নেয় স্মৃতি মান্ধানারা।
বহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে থাইল্যান্ডের মেয়েরা থামে ৭৪ রানে। দলের হয়ে দুই অঙ্কের দেখা পান দুইজন।
শেফালি ভার্মা-স্মৃতিদের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ চাপে ছিল থাইল্যান্ড। স্কোরবোর্ডে ২১ রান তুলতেই তারা হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে সেই ধাক্কা কিছুটা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান নিতয়া বুচানথাম ও অধিনায়ক নারোইমল চাওয়ী। এ দুজন গড়েন ৪২ রানের জুটি। দলীয় ৬৩ রানে অধিনায়ক চাওয়ী আউট হলে ভাঙে জুটি।
চাওয়ীর বিদায়ের পর দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে থাইল্যান্ড। দলীয় ৭১ রানে তিন উইকেট হারায় থাই মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৭৪ রানে গিয়ে থামে থাই মেয়েদের ইনিংস। থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নাত্তায় বুচাথামের ব্যাট থেকে।
ভারতের পক্ষে দ্বীপ্তি শর্মা ৩টি, রাজেশ্রী গায়কোয়াড ২টি, রেনুকা সিং, স্নেহ রানা ও শেফালি ভার্মা একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৮ রান সংগ্রহ করে ভারত। ১৪ বলে ১৩ রান করা স্মৃতি মান্ধানাকে ফেরান পানিটা মায়া। ভারতও তেমন বড় জুটি গড়তে পারেনি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট।
তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে শেফালি ভার্মার ব্যাট থেকে। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৪২ রান করেন তিনি। এছাড়া ৪ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করা হারমানপ্রিত কৌর করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। থাইল্যান্ডের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন সোরনারিন টিপোচ।