বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার গতকাল যখন উত্তাপ ছড়াচ্ছিল, তখন চট্টগ্রামের আদালতপাড়া থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাতে বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরইমধ্যে খবর আসে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্স কোনো বক্তব্য না নিয়েই পুলিশ কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শফিকুল আলম আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় গত ৩১ অক্টোবর ৫২ নম্বর মামলার প্রধান আসামি সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণ ও তার আশেপাশের উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর বিদেশি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে আজ ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সময় বেলা ১২টা ২৭ মিনিটে প্রকাশিত “One Killed in Bangladesh as Hindu protesters clash with police” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের নজরে এসেছে। পরবর্তীতে তা ভয়েস অব আমেরিকাসহ আরও অনেক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার লিয়াকত আলী খানকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “A Muslim lawyer defending Das was killed amid protests outside the court [in Chittagong],” said police officer Liaquat Ali. যদিও রয়টার্স বা কোনো সাংবাদিক এই বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) লিয়াকত আলী খানের সঙ্গে কথা বলেননি।
ওই পোস্টে আরও বলা হয়, ঘটনার সময়ে তিনি (লিয়াকত আলী) আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কাজে দায়িত্বরত ছিলেন। লিয়াকত নামে চট্টগ্রামে চার জন কন্সটবল আছে। তারাও কাউকে কোনো বক্তব্য দেননি। কারও বক্তব্য গ্রহণ না করেই নিজেদের মনগড়া বক্তব্যকে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া সাংবাদিকতার নীতিমালা পরিপন্থী। ভবিষ্যতে রয়টার্সসহ সব গণমাধ্যম এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।