বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়: প্রেস সচিব মানি লন্ডারিংয়ের মামলা থেকে খালাস পেলেন মামুন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে ভারত: ফারুক সংস্কার লাগবে, তবে বাকশালের মতো কিছু যেন না হয়: মঈন খান শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা পার্শ্ববর্তী দেশের উসকানি গোটা জাতি ধরে ফেলেছে’ শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কোনো ছাড় নয়: আইজিপি ভারতেই শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো উচিত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ৭ ম্যাচ পর জিতল ম্যানসিটি সালাহ শো শেষেও পয়েন্ট খোয়াল লিভারপুল ফরাসি পার্লামেন্টে আস্থাভোটে মাক্রোঁপন্থি সরকারের পতন ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকহারে নিম্নমুখী আসাদ বিরোধীদের হঠাৎ উত্থানে সংকটে সিরিয়া ইউক্রেনকে আরো শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর ভারতকে এড়িয়ে চীনের সাথে নেপালের চুক্তি

কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতাকে ২৭ বছর গৃহবন্দি রাখার আদেশ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : মার্চ ৩, ২০২৩
কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতাকে ২৭ বছর গৃহবন্দি রাখার আদেশ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দোষী প্রমাণ করে কম্বোডিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা কেম সোখাকে ২৭ বছর গৃহবন্দি রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ অতিমারিকে সামনে রেখে তিন বছর ধরে চলা এই বিচার কাজে সোখার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ যোগাড় করতে সরকারি আইনজীবীদের সময় ও সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানী নম পেনের মিউনিসিপাল কোর্টের বিচারক কম্বোডিয়ার ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) সাবেক প্রেসিডেন্টকে জানান যে, তাঁকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো।

কেম সোখাকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোনো ধরনের পরোয়ানা ছাড়াই মধ্যরাতে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ও একটি প্রাদেশিক কারাগারে বন্দি রাখা হয়। বেশ কয়েকবার জামিন বাতিল হওয়ার পর গৃহবন্দিত্বের দণ্ড নিয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। সোখার বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ার অপরাধ আইনের ৪৪৩ ধারার আওতায় ‘বিদেশি শক্তির সাহায্য নিয়ে ষড়যন্ত্র’ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ও প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের নেতৃত্বাধীন সরকার রাজনৈতিক দল সিএনআরপি-কে নিষিদ্ধ করে এবং দলটির নেতাদের ছবি প্রদর্শনকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০১৮ সালে কোনো কার্যকর বিরোধী দল ছাড়াই হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি (সিপিপি) জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়।

কেম সোখা অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছিলেন যে, তিনি শুধুমাত্র ব্যালটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চান।

এদিকে, আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) বিচারের রায় ঘোষণার পরপর কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিক মার্ফি টুইট বার্তায় জানান যে, অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার ঘটনায় ওয়াশিংটন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

কম্বোডিয়ার সরকারি আইনজীবীরা অভিযোগ করেছিলেন যে, কেম সোখাকে রাজনৈতিক ষড়ন্ত্রের জন্য হাতেনাতে ধরা হয়েছে আর এর প্রমাণ হিসেবে তারা ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর দেওয়া এক ঘণ্টাব্যাপী একটি ভাষণ থেকে দুই মিনিটের রেকর্ড আদালতে জমা দেয়। ভাষণের ওই অংশে সোখা বলেছিলেন যে, ১৯৯৩ সাল থেকে তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছিল।


এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ