কাতারের কাছে বার্ষিক আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিএ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (রোববার) স্থানীয় সময় সকালে দোহায় কাতার জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অনুরোধ করেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ কাতার থেকে বছরে প্রায় ৪০ কনটেইনার জ্বালানি, অর্থাৎ ১ দশমিক ৮ থেকে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি করে। কাতারের আমিরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আমাদের এনার্জির বড় সমস্যা হয়েছে। আমরা আরও বেশি জ্বালানি চাই। কাতারের আমির জানতে চান বাংলাদেশ আরও কত পরিমাণ জ্বালানি চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাই, আরও ১৬-১৭ কনটেইনার।
প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের পর সাথে সাথে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন কাতারের আমির। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমি আমাদের জ্বালানি মন্ত্রীকে আজকেই হুকুম দিচ্ছি। আপনি দেশে ফেরার আগেই, আপনার সঙ্গে সাক্ষাত করবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। কাতারের আমির এবছর বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমিরকে শেখ হাসিনা বলেন, আপনার এখানে আমাদের বহু শ্রমিক আছে, তাদের আপনি দেখভাল করবেন। কারণ সম্প্রতি কিছু শ্রমিক এখানে কাজ হারাচ্ছে। জবাবে কাতারের আমির বলেন, তিনি সব সময় বাংলাদেশের মঙ্গল চান, বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণ চান।
পরে কাতার জাতীয় কনভেনশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদাভাবে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ইউএনডিপির প্রশাসক অচিম স্টেইনার, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) সেক্রেটারি জেনারেল ডরিন বোগান মার্টিন, ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি) এর সেক্রেটারি জেনারেল রেবেকা গ্রিন্সপ্যান। বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন তারা।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে শনিবার কাতার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮ই মার্চ তিনি দেশে ফিরবেন।