দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ ও বিএনপিপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সহায়তা করায় কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হোমনা উপজেলার ৫নং আছাদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিদ্দিকুর রহমান।
একইসঙ্গে তিনি গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ করে নির্বাচন বাতিল করে পুন:নির্বাচনের দাবিও জানান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান।
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেলিমা আহমাদের প্রত্যক্ষ ও নগ্ন হস্তক্ষেপে হোমনা উপজেলার কুখ্যাত রাজাকার পাচু পাঠানের সন্তান আছাদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জালাল পাঠানকে (আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে তিনি পরাজিত হন। তিনি কুটকৌশলে তাকে পরাজিত করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, জালাল পাঠানের ভাতিজা সন্ত্রাসী ও নারী পাচারকারী বহু মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মকবুল পাঠানের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তার অনুসারি ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচরণ করেন এবং কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপি (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেন এবং কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের এজেন্টদের কোনঠাসা করে রাখেন। অনেকক্ষেত্রে নৌকার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আনারস প্রতীকে সীল মারেন।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।